এক সময় বাসা বাড়িতে রান্নাবান্না করার জন্য মাটির চুলা ব্যবহার করা হতো । কিন্তু সেই যুগ পরিবর্তিত হয়ে গ্যাসের চলা ব্যবহৃত হচ্ছে । তারপর প্রযুক্তির দিন দিন আপডেট হওয়ার পর এখন ইলেকট্রিক চুলাই পরিণত হয়েছে । যদিও বাংলাদেশে ইলেকট্রিক চুলার অসংখ্য কোম্পানির রয়েছে তবুও মানুষ ভিশন ইলেকট্রিক চুলা দাম সম্পর্কে জানতে চায় ।
বিদ্যুৎ ব্যবহার করার মাধ্যমে এই সকল চুলা গুলো পরিচালিত হয় । এর জন্য আপনাকে কাঠ খড় পোড়াতে হবে না কোন গ্যাস অথবা সিলিন্ডারের । শুধুমাত্র আপনার চুলাকে বৈদ্যুতিক সার্কিটের সাথে যুক্ত করে দিবেন । তারপর আপনি ওই চুলায় দৈননিন্দ জীবনের যা যা রান্না করতে চাইবেন সবকিছুই রান্না করতে পারবেন ।
সাধারণভাবে মাটিচুলা অথবা গ্যাসের চুলায় রান্না করতে যদি সময় লাগে ২০ মিনিট কিন্তু আপনি এই ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করে রান্না করতে পারবেন ১০ মিনিটের ভিতরে । তাহলে এই চুলা আপনাকে অনেক সময় সাশ্রয় করতে সহায়তা করবে । তাছাড়া গ্যাসের চুলায় যত টাকা খরচ হবে তার থেকে এই ইলেকট্রিক চুলাতে খরচ কম হয়ে থাকে ।
আরও পড়ুন ➝ ওয়ালটন এসির দাম কত টাকা
তাই আপনি চাইলে বাজার থেকে ভিশন ইলেকট্রিক চুলা কিনে আনতে পারেন । আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব ভিশন ইলেকট্রিক চুলার সুযোগ-সুবিধা কি কি রয়েছে, এর দাম কত, বিদ্যুৎ খরচ কেমন হয় এবং কেন আমরা এই চুলাটি ব্যবহার করব । আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি পড়তে থাকুন ।
ভিশন ইলেকট্রিক চুলার সুবিধা
আপনি যদি ভিশনের তৈরি ইলেকট্রিক চুলা ব্যবহার করেন তাহলে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন । এখন প্রশ্ন হল এই চুলাতে কি কি সুবিধা রয়েছে যা আমাদের জন্য লাভজনক । আপনাদের সুবিধার্থে ঐ সকল সুবিধা গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো ।
- ভিশন ইলেকট্রিক চুলা সমানভাবে তাপ দিতে সক্ষম ফলে খাবার সমানভাবে রান্না হয় ।
- এই চুলা খাবার পুড়া হওয়ার ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে ।
- এই চুলা সঠিক ভাবে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ফলে রান্নার গুনগতমান ঠিক থাকে ।
- এই চুলার গঠন ও অবকাঠামো খুবই সিম্পল তাই পরিষ্কার করা ও সহজ ।
- এই চুলা গ্যাসের চুলার তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ । তাই আগুন লাগার কোন সম্ভাবনা নেই ।
- এই চুলা গ্যাসের চুলার তুলনায় কম পরিবেশ দূষণ করে ।
এখনো যতগুলো সুবিধার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো ছাড়াও অনেক সুবিধা পাবেন যদি আপনি ভিশন কোম্পানি থেকে ইলেকট্রিক চুলা কিনেন ।
ভিশন ইলেকট্রিক চুলা দাম কত
বর্তমানে বাংলাদেশে ইলেকট্রিক চুলার জন্য বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে ভিশন ইলেকট্রিক চুলা ভালো অবস্থানে রয়েছে । এ চুলা গুলো উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে । ফলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় এবং টেক সই হয়ে থাকে । এই চুলা গুলো উন্নত মানের উপকরণ দিয়ে তৈরি করা । এর ফলে আগুন লাগার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে ।
বর্তমানে ভিশনের বেশ কিছু ইলেকট্রিক চুলার মডেল রয়েছে যেগুলো বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে । এই চুলাগুলোর গুণগত মান অন্যান্য ব্র্যান্ডের চুলার গুণগতমান থেকে ভালো । তাছাড়া এই চুলাগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য ব্যান্ডের চুলার থেকে অনেক কম । এখন আমরা ঐ সকল ইলেকট্রিক চুলার মডেল নাম্বার ও দাম সম্পর্কে জানব ।
মডেল নাম্বার | চুলার দাম |
VISION-1206 Eco | 3,750 |
VISION-1204 Border Eco | 4,005 |
VISION-XI-211 | 3,690 |
RE-VISION-XI-1201-Eco | 3,375 |
এখানে যতগুলো ইলেকট্রিক চুলার মডেল নাম্বার এবং দাম উল্লেখ করা হয়েছে তা ভিশনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে তুলে ধরা হয়েছে । আপনি যদি কখনো ইলেকট্রিক চুলা কিন্তু আগ্রহী হন তাহলে উপরোক্ত যে কোন একটি মডেল পছন্দ করে কিনতে পারেন । এখানে তুলে ধরা সকল চুলার মডেল নাম্বার এবং দাম যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে ।
ভিশন ইলেকট্রিক চুলা বিদ্যুৎ খরচ কেমন
আমরা যদি বাজার থেকে ভিশনের ইলেকট্রিক চুলা কিনি তাহলে বিদ্যুৎ খরচ কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার । বর্তমানে ভিশনের দুই ধরনের ইলেকট্রিক চুলা রয়েছে। ১. ইনডাকশন চুলা ২. ইনফ্রারেড চুলা । এই দুই চুলার কেমন বিদ্যুৎ খরচ হয় তা নিচে উল্লেখ করা হলো ।
ইনফ্রারেড চুলা: এই চুলা প্রতি ঘন্টায় ২০০-৩০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ।
ইনডাকশন চুলা: এই চুলা প্রতি ঘন্টায় ১০০০-১৮০০ ওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ।
আপনি যদি প্রতিদিন ৩০ মিনিট ধরে একটি ১০০০ ওয়াট ইনডাকশন চুলা ব্যবহার করেন, তাহলে এটি প্রতি মাসে প্রায় ১৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে ।
যদি আপনি প্রতিদিন ১ ঘন্টা ধরে একটি ৩০০ ওয়াট ইনফ্রারেড চুলা ব্যবহার করেন, তাহলে এটি প্রতি মাসে প্রায় ৯ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ হবে ।
কেন ভিশন ইলেকট্রিক চুলা কিনবেন?
বাজারে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কোম্পানির ইলেকট্রিক চুলা রয়েছে যেগুলো উন্নতমানের প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি এবং সার্ভিসও ভালো দিচ্ছে । তাহলে ওই সকল চুলা না কিনে আমরা কেন ভিশন কোম্পানির ইলেকট্রিক চুলা কিনব? এই প্রশ্নটি করা খুবই একটি যুক্তিসঙ্গত বলে আমি মনে করি ।
ভিশনের ইলেকট্রিক চুলাগুলোতে উন্নতমানের উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে । এর ফলে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়, ব্যবহার করা সহজ এবং গুণগতমান অন্যান্য ব্র্যান্ডের থেকে ভালো । এই চুলা গুলোর বর্তমান বাজার মূল্য অন্যান্য ব্র্যান্ডের চুলার থেকে তুলনামূলক অনেক কম ।
তাছাড়া আপনি যদি ভিশন কোম্পানি থেকে ইলেকট্রিক চুলা কিনেন তাহলে ওয়ারেন্টি ১ বছর থেকে ২ বছরের পাবেন যা সচারচর অন্যান্য কোম্পানিতে পাওয়া যায় না । তাই আমরা উপরোক্ত সকল তথ্য বিবেচনা করার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে ভিশন কোম্পানি থেকে ইলেকট্রিক চুলা কিনলে আমরা লাভবান হতে পারব ।
আমাদের শেষ কথা
আজকের পোস্টে আমরা বর্তমান সময়ের অন্যতম ইলেকট্রনিক কোম্পানি ভিশনের বেশ কিছু ইলেকট্রিক চুলার মডেল নাম্বার এবং দাম সম্পর্কে জানতে পেরেছি । তাছাড়া এই চুলা গুলোর সুবিধা, কতটুকু সাশ্রয়ী এবং কেনই বা ব্যবহার করব সে সম্পর্কে ও আলোচনা করেছি । তাই আপনি যদি কখনও বাজার থেকে ইলেকট্রিক চুলা কিনতে চান তাহলে উপরোক্ত তথ্য ফলো করে কিনতে পারেন
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে । পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবেন । তাছাড়া আমার এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন । অতএব আজকের মত এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকুন । সুস্থ থাকুন । আল্লাহ হাফেজ ।