বর্তমানে বাংলাদেশে যতগুলো উন্নত মানের এসি পাওয়া যায় তার মধ্যে ওয়ালটন এসি সবার শীর্ষে অবস্থান করছে । আপনি যদি google অথবা ইউটিউবে এসে বাংলাদেশের সেরা এসি কোম্পানি লিখে সার্চ করেন তাহলে নিঃসন্দেহে ওয়ালটনের নাম সবার প্রথমে চলে আসবে । কেননা তারা সম্পূর্ণ দেশীয় উন্নতমানের প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসি তৈরি করে আসছে ।
মূলত উন্নত মানের প্রযুক্তি এবং দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাই বলে অনেকে ওয়ালটন থেকে এসি কিস্তিতে নিতে চায় । কিন্তু কিভাবে কিস্তি প্রোগ্রামের মাধ্যমে এসি কেনা যায় সে সম্পর্কে অনেকে অবগত নয় । অনেকের হাতের বাজেট তুলনামূলক কম কিন্তু ঘরে একটি এসি না নিলেই নয় তাদের জন্য ওয়ালটন কিস্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে ।
আরও পড়ুন ➝ ওয়ালটন এসির দাম কত টাকা
আপনি ১০% ডাউন পেমেন্ট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি পরিষোধ করার সুযোগ পাচ্ছেন । তাহলে কেনই বা ওয়ালটন থেকে এসি কিনবেন না? আপনি যদি এই গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে চান তাহলে দেরি না করে কিস্তিতে এসি কিনে নিন ।
এখন আমরা আলোচনা করব ওয়ালটন থেকে কিস্তিতে এসি নিলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে, যাবতীয় ডকুমেন্ট এবং কেনার নিয়ম সম্পর্কে । আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন ।
ওয়ালটন এসি কিস্তিতে নেওয়ার সুবিধা
ওয়ালটন তার গ্রাহকদের জন্য বিশ্ব মানের এসির ব্যবস্থা করে দিয়েছে । শুধু তাই নয় গ্রাহকরা যাতে পুরো টাকা পেমেন্ট না করে কিস্তির মাধ্যমে এসি নিতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে দিয়েছে । তাই আপনি যদি কখনও ওয়ালটন থেকে এসি ক্রয় করেন তাহলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন তা এখন নিচে উল্লেখ করা হলো ।
- সর্বোচ্চ ৩৬ মাসে কিস্তি দেওয়ার সুযোগ ।
- ১০% ডাউন পেমেন্ট থেকে কিস্তি শুরু হয় ।
- ৪ মাসের মধ্যে পুরো টাকা দিয়ে দিলে নগদ টাকায় এসি কেনার সুযোগ ।
- মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সকল এসিতে ০% ডাউনপেমেন্টে এসি নেওয়ার সুযোগ ।
- শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে ১২ মাস কিস্তি গ্রহণের সুযোগ ।
- বিকাশ, রকেট ও নগদে কিস্তি পরিষোধের সুযোগ ।
ওয়ালটন এসি কিস্তিতে নেওয়ার শর্তাবলী
আপনি যদি ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে কিস্তির মাধ্যমে এসি কিনেন তাহলে বেশ কিছু শর্তাবলী এবং ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে । এখন আমরা জানবো কি কি শর্ত এবং ডকুমেন্ট দিলে আমরা কিস্তিতে এসি নিতে পারব ।
- ক্রেতার বয়স ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৬৫ বছর হতে হবে ।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ।
- দুইজন জামিনদারের পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- নমিনির পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি ।
- ১০% ডাউন পেমেন্ট বা এডভান্স টাকা দিতে হবে ।
ওয়ালটন এসি কিস্তিতে কেনার নিয়ম
আমরা ইতিমধ্যে ওয়ালটন এসি যদি কিস্তিতে নিলে কি কি সুবিধা এবং শর্তাবলী ও ডকুমেন্ট লাগবে সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি । এখন কিভাবে এই এসি কিস্তিতে সংগ্রহ করতে পারব ওয়ালটন থেকে তা জানব । এখন নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে থাকুন ।
সবার প্রথমে নিকটস্থ ওয়ালটন প্লাজায় যাবেন । সেখানে গিয়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত এসিটি বাছাই করবেন । তারপর সেখানকার কর্তব্যরত কর্মকর্তার সাথে কথাবার্তা বলবেন উনি আপনাকে যত % ডাউন পেমেন্ট বা নগদ টাকা দিতে বলবে সেই টাকা দিয়ে দিবেন ।
আপনার সাথে দুইজন জামিনদার যেমনঃ বাবা-মা-ভাই সাথে করে নিয়ে যাবেন । তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিবেন । সেই সাথে একজন নমিনির পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জমা দিবেন ।
অতঃপর সেখানকার কর্তব্যরত কর্মকর্তা ফর্মে আপনার দেওয়া তথ্যগুলো লিখবেন এবং আপনাদের সবাইকে সিগনেচার করতে বলবেন । সবকিছু বুঝে শুনে পড়ে নিয়ে সিগনেচার করে দিবেন । তারপর ওনারা আপনাকে এসি দিয়ে দিবে । যেই তারিখ এসি কিনবেন ওই তারিখ থেকে পরবর্তী মাসের একই তারিখে কিস্তির টাকা জমা দিবেন ।
আমাদের শেষ কথা
আমাদের আজকের পোস্টে কিভাবে ১০% ডাউন পেমেন্ট এবং ৩৬ মাস সর্বোচ্চ কিস্তি সুবিধার মাধ্যমে ওয়ালটন থেকে এসি কেনা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করছি । আপনি যদি কখনো চিন্তা ভাবনা করেন আমার হাতে যেহেতু বাজেট নেই আমি কিস্তিতে উন্নত মানের এসি কিনব তাহলে অবশ্যই ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে এসি নিতে পারেন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে । পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও ফ্যামিলিতে পোস্টটি শেয়ার করে রাখবেন । তাছাড়া এই পোস্ট সম্পর্কে যদি কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । ধন্যবাদ ।