আমরা অনেকে কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল নিতে চাই কিন্তু কিভাবে নেওয়া যায় সে সম্পর্কে অবগত নই । আপনি যদি ওয়ালটন থেকে কিস্তির মাধ্যমে মোবাইল নিতে চান তাহলে কি কি শর্তাবলী দরকার হবে এবং কি কি ডকুমেন্ট লাগবে সে সম্পর্কেও জেনে নেওয়া খুবই জরুরী ।
আমাদের অনেকের হাতের বাজেট নেই বললেই চলে । তাই ভালো কোন স্মার্টফোন কেনার সুযোগ হয়ে ওঠে না । আমরা সকলেই জানি দিনের পর দিন প্রযুক্তি আপডেট হচ্ছে । আমাদেরও সেই প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলা খুবই দরকার না হলে আমরা পিছিয়ে পড়বো ।
আরও পড়ুন ➝ কিস্তিতে মোবাইল কেনার নিয়ম ২০২৪
ঘরে বসে পণ্য কেনাকাটা, ট্রেনের টিকিট কাটা, বাসের টিকিট কাটা, এবং বিদ্যুৎ বিল সবকিছু দৈননিন্দ জীবনের সব কাজ এই স্মার্টফোন ব্যবহার করে করা যায় । এখন আপনি যদি দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে বাস বা ট্রেনের টিকেট কাটেন তাহলে স্টেশনে যেতে ভাড়া লাগবে এবং দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে । এতে আমাদের সময় এবং অর্থ দুটোই অপচয় হয় ।
মূলত আমরা বর্তমান প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে একটি স্মার্টফোন অবশ্যই দরকার । তাই আমাদের হাতে টাকা না থাকলেও আমরা কিন্তু কিস্তির মাধ্যমে ওয়ালটন থেকে মোবাইল কিনতে পারি । আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য তাই পোস্টটি পড়তে থাকুন ।
কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল কেনার শর্তাবলী
আপনি যদি ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন নিতে চান তাহলে তাদের বেশ কিছু শর্তাবলী মেনে চলতে হবে । তাই এখান থেকে মোবাইল নেওয়ার পূর্বে তারা কি কি শর্তাবলী জুড়ে দিয়েছে তা আমাদের অবশ্যই জেনে নেওয়া দরকার । এমন কোন শর্তাবলী যাতে আমাদের ভবিষ্যতে কোন বিপদের কারণ না হয়ে দাঁড়ায় ।
শুধুমাত্র ওয়ালটন বাংলাদেশ নয় বাংলাদেশের আরো অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি যেমনঃ ভিশন, সিঙ্গার, এবং মিনিস্টার এই সকল কোম্পানি থেকে আপনি যখন কিস্তিতে মোবাইল ফোন অথবা অন্যান্য পণ্য নিবেন তারা কি কি শর্তাবলী দিয়েছে তা পড়ে নিবেন । এখন আমরা ওয়ালটন মোবাইল ফোন যদি সহজ কিস্তিতে নিই তাহলে কি কি শর্তাবলী মানতে হবে তা উল্লেখ করা হলো ।
- ক্রেতার বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৬৫ বছর ।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
- দুইজন জামিনদারের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
- একজন নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি ।
কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল নেওয়ার সুবিধা
আপনি যদি ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে মোবাইল ফোন কিস্তিতে নেন তাহলে বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন । এখন নিচে আমরা কি কি সুবিধা পাব তা উল্লেখ করা হলো ।
- সর্বোচ্চ ৪ মাস পর্যন্ত নগদ দামে কিস্তি প্রদানের সুযোগ ।
- ৩৬ মাস পর্যন্ত কিস্তি দেওয়ার সুযোগ ।
- ন্যূনতম ১০% ডাউন পেমেন্ট থেকে কিস্তি দেওয়া শুরু ।
- শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীদের ১২ মাস পর্যন্ত কিস্তি প্রদানের সুযোগ রয়েছে ।
- ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা এতিমখানায় ০% ডাউন পেমেন্টে কিস্তি নেওয়ার সুযোগ ।
- বিকাশ, রকেট ও নগদের মাধ্যমে কিস্তি পরিষোধের সুযোগ ।
কিস্তিতে ওয়ালটন মোবাইল কেনার নিয়ম
আপনি যদি walton থেকে কিস্তিতে মোবাইল ফোন কিনতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনার নিকটস্থ ওয়ালটন শোরুম বা ওয়ালটন প্লাজায় যোগাযোগ করবেন । তারপর সেখানে আপনার ফ্যামিলি থেকে দুইজন লোক যেমনঃ বাবা-ভাই-বোন সাথে নিবেন । সাথে তাদের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন ।
তারপর একজন নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংগ্রহ করে নিবেন । তাছাড়া অবশ্যই আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংগ্রহ করে সাথে নিতে হবে । অতঃপর ওয়ালটন প্লাজায় গিয়ে আপনার পছন্দের মোবাইল ফোনটি সিলেক্ট করবেন ।
সেখানে কর্তব্যরত কর্মকর্তার কাছে বলবেন ভাই আমি কিস্তিতে ওই মোবাইলটি নিতে চাই । তারপর উনি আপনাকে বলবে যে এত % ডাউন পেমেন্টে আপনি মোবাইল ফোন নিতে পারবেন অর্থাৎ এত টাকা আপনাকে শুরুতে জমা দিতে হবে । উনার কথা মতো যত টাকা এডভান্স দিতে বলে সেই টাকা জমা দিয়ে দিবেন । তারপর যা যা তথ্য দিতে বলে সবকিছু দিবেন ।
কিস্তির কাগজে আপনার সিগনেচার, দুইজন জামিনদারের সিগনেচার ও তাদের কাগজপত্র সঠিকভাবে সাবমিট করার পর আপনাকে মোবাইল ফোন দিয়ে দেওয়া হবে । তারপর থেকে যেদিন মোবাইল ফোন নিয়েছেন পরবর্তী মাসের ওই দিন থেকে আপনাকে কিস্তির টাকা প্রদান করতে হবে । এই কিস্তির টাকা আপনি চাইলে বিকাশ, রকেট বা নগদেও পরিশোধ করতে পারবেন ।
আমাদের শেষ কথা
আজকের পোস্টে আমরা কিভাবে আমাদের দেশীয় ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে সহজ কিস্তি উপায়ে অবলম্বন করে মোবাইল ফোন নেওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি । আপনি যদি স্মার্টফোন কিনতে চান এবং আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকে তাহলে উপরোক্ত তথ্যগুলো ফলো করে ওয়ালটন থেকে মোবাইল ফোন কিনতে পারেন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে । পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হন তাহলে এই পোস্টটি লিখতে যতটুকু কষ্ট হয়েছে তা সার্থক হবে বলে আমি মনে করি । তাছাড়া এই পোস্ট নিয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন ।
গুড অনেক সুন্দর তরিকা আমার কাছে অনেক পছন্দ হয়েছে।