মোটরসাইকেল আমাদের খুব শখের একটি জিনিস । আমাদের প্রায় সকলেরই ইচ্ছে থাকে নতুন একটি মোটরসাইকেল কেনার । কিন্তু বেশিরভাগ মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ থাকে না তাই ইচ্ছা থাকলেও আর মোটরসাইকেল কেনা হয়ে উঠে না । তবে আপনি চাইলে কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে পারেন ।
এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনা যায়? অনেকে হয়তো এই বিষয়ে জেনে থাকবেন আবার কেউ কেউ কিভাবে মোটরসাইকেল কিস্তিতে নেওয়া যায় সে সম্পর্কে জানেন না । তাছাড়া আমরা যদি কিস্তিতে মোটরসাইকেল নিই তাহলে কি কি সুবিধা পাব এবং কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে সে সম্পর্কেও জেনে নেওয়া খুবই জরুরী ।
আরও পড়ুন ➝ ফনিক্স সাইকেল দাম কত ২০২৪
আপনার যদি দীর্ঘদিনের ইচ্ছা থাকে নতুন একটি মোটরসাইকেল কিনবেন তাহলে কিস্তিতে মোটরসাইকেল নিতে পারেন । এতে আপনার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা পূরণ হয়ে যাবে এবং সেই সাথে আপনি একটি নতুন বাইকের মালিকও হবেন ।
আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব যদি কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনি তাহলে এর সুবিধা, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কেনার নিয়ম এবং অসুবিধা সম্পর্কে । আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন । তো চলুন আমাদের আজকের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক ।
কিস্তিতে মোটরসাইকেল নেওয়ার সুবিধা
আমরা যদি কিস্তিতে মোটরবাইক তিনি তাহলে কি কি সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবো সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত । আপনাদের সুবিধার্থে এখন নিচে ওই সকল সুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো ।
- আপনার পছন্দের যেকোন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল কিনতে পারবেন ।
- স্বল্প পরিমাণ ডাউন পেমেন্টে মোটরসাইকেল নিতে পারবেন ।
- অল্প টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি মোটরসাইকেল নিতে পারবেন ।
- স্বল্প সময়ে আপনার পছন্দের বাইকটি নিজের করে নিতে পারবেন ।
কিস্তিতে মোটরসাইকেল নেওয়ার অসুবিধা
আমরা ইতিমধ্যে মোটরসাইকেল কিস্তিতে নিলে কি কি সুবিধা পাব সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি । এখন আমরা জানবো কিস্তিতে বাইক নেওয়ার পর কি কি অসুবিধা হতে পারে । নিচে অসুবিধাগুলো তুলে ধরা হলো ।
- মোটরসাইকেলের বর্তমান বাজার মূল্য থেকে বেশি টাকা দিতে হবে ।
- সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত আপনি মোটরসাইকেলের কাগজপত্র পাবেন না ।
- মোটরসাইকেল চুরি হলে বা কোন ক্ষতি হলে এর রিপেয়ার সহ যাবতীয় খরচ আপনার নিজেকেই করতে হবে
কিস্তিতে মোটরসাইকেল নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
আপনি যদি কিস্তিতে বাইক নিতে চান তাহলে বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে । এখন আমরা জানবো কি কি কাগজপত্র হলে আমরা কিস্তিতে মোটরবাইক নিতে পারব । নিচে তা উল্লেখ করা হলো ।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- গত ৩ থেকে ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ফটোকপি
- কর্মচারী প্রুফ ডকুমেন্টস (চাকরিজীবী হলে)
- জামিনদারের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- ২০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি নামে স্বাক্ষর পত্র
কিস্তিতে মোটরসাইকেল কেনার নিয়ম
আপনি যদি কিস্তিতে মোটরসাইকেল কিনতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র সবার প্রথমে সংগ্রহ করে নিবেন । তারপর আপনার পছন্দের যেকোনো একটি বাইকের শোরুমে যাবেন । সেখানে গিয়ে আপনার পছন্দের বাইকটি বাছাই করবেন এবং ওখানকার কর্মকর্তার সাথে আপনার পছন্দের কথা বলবেন ।
তারপর উনার সাথে কথা বলে নিবেন কিস্তিতে মোটরসাইকেল দেয় কিনা । যদি দেয় তাহলে কত % ডাউন পেমেন্ট দিতে হবে, কত কিস্তিতে শেষ করতে হবে এবং কি কি সুবিধা পাওয়া যায় সবকিছু সম্পর্কে জেনে নিবেন । যদি উনাদের কথা সাথে আপনার মিল পড়ে তাহলে মোটরসাইকেল নিবেন ।
অবশ্যই সাথে একজন জামিনদার নিতে হবে । উনার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ওখানকার কর্মকর্তাকে দেবেন । সাথে আপনার যা যা কাগজপত্র চাইবে সবকিছু দিবেন । তারপর কর্মকর্তা আপনাদের ২০০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করাবে ।
আরও পড়ুন ➝ বাচ্চাদের দুরন্ত সাইকেল মূল্য কত
চুক্তিনামায় স্বাক্ষর করার পূর্বে কি কি তথ্য লেখা আছে তা পড়ে তারপর স্বাক্ষর করবেন এবং জামিনদার কেও স্বাক্ষর করবেন । ব্যাস আপনার কাজ শেষ । তারপর ডাউনপেমেন্ট যত টাকা বলবে সেই টাকা পরিশোধ করে আপনার পছন্দের বাইকটি নিয়ে আসবেন । যেই তারিখে বাইকটি সংগ্রহ করবেন পরবর্তী মাসের ওই তারিখে আপনাকে কিস্তির টাকা দিতে হবে ।
আমাদের শেষ কথা
আজকের পোস্টটিতে আমরা কিভাবে কিস্তির মাধ্যমে মোটর বাইক কেনা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি । কিস্তিতে বাইক নিলে কি কি সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং কেনার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছি । আপনি যদি কখনো কিস্তিতে মোটর বাইক নিতে চান তাহলে উপরোক্ত তথ্য ফলো করে নিতে পারেন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে । পোষ্টটি পড়ে আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করবেন । তাছাড়া এই পোস্ট নিয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । অতএব আজকের মত এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকুন । সুস্থ থাকুন । আল্লাহ হাফেজ ।
আপনি কি ওয়ালটন ফ্রিজ ১৭৬ লিটার দাম কত জানতে চান? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন বিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশে যত কোম্পানির আইপিএস পাওয়া যায় তার মধ্যে সবার প্রথমে রয়েছে রহিম আফরোজ আইপিএস । তাই অনেকে রহিম আফরোজ আইপিএস বিস্তারিত পড়ুন
আপনি কি ১২ ভোল্ট ব্যাটারি দাম কত ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে সঠিক জায়গাতে বিস্তারিত পড়ুন
আপনি কি কেনেডি চার্জার ফ্যান দাম কত ২০২৪ জানতে চাচ্ছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন বিস্তারিত পড়ুন
বর্তমানে বাংলাদেশের অসংখ্য কোম্পানির ব্লেন্ডার মেশিন পাওয়া যায় তার মধ্যে ওয়ালটন ব্লেন্ডার মেশিন অন্যতম । এই মেশিনগুলো সর্বশেষ উন্নত মানের বিস্তারিত পড়ুন
আপনি কি ওয়ালটন ওভেনের দাম কত টাকা ২০২৪ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে সঠিক জায়গাতে বিস্তারিত পড়ুন