আপনি কি অনলাইনে কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকিট চেক করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কারণ আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব কুয়েত এয়ারলাইন্সের বাংলাদেশ অফিস কোথায়, কুয়েত এয়ারলাইন্সে কত কেজি মাল আনা যায় এবং কুয়েত এয়ারলাইন্সের টিকিট চেক করার উপায় সম্পর্কে ।
বর্তমানে বাংলাদেশের অসংখ্য নাগরিক কুয়েতে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করছে এবং দেশের জন্য বিপুল পরিমাণে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছে । আপনি যদি বিদেশে গিয়ে উচ্চ বেতন পাওয়ার পাশাপাশি উন্নত জীবন যাপন করতে চান তাহলে আমার মতে কুয়েত শ্রেষ্ঠ একটি দেশ । কারণ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে দামি মুদ্রার নাম হচ্ছে কুয়েতি দিনার ।
আরও পড়ুন ➝ দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
আমরা যদি কখনো বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে চাই অথবা কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসতে চাই তাহলে কোন বিমান ব্যবহার করব তা জানার দরকার । যদিও বা অসংখ্য বিমান বাংলাদেশ থেকে কুয়েত বা কুয়েত টু বাংলাদেশ চলাচল করছে । কিন্তু সেখান থেকে আমাদের জানা দরকার সবচেয়ে কম খরচে কোন বিমান ব্যবহার করে যাতায়াত করা যায় ।
বর্তমানে কুয়েত এয়ারলাইন্স নামক একটি বিমান নিয়মিত বাংলাদেশ থেকে কুয়েত এবং কুয়েত থেকে বাংলাদেশের চলাচল করছে । এই বিমানটি অত্যন্ত বিলাসবহুল এবং সীতা তাপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা রয়েছে । তাছাড়া এই বিমানে রয়েছে উচ্চ আরামদায়ক সিটের ব্যবস্থা সবচেয়ে । মজার বিষয় হচ্ছে এই বিমানের টিকিটের মূল্য অন্যান্য বিমান থেকে কম হয়ে থাকে ।
এখন আমরা কুয়েত এয়ারলাইন্স সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো । আপনি যদি কখনো কুয়েত থেকে বাংলাদেশে অথবা বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন । তো আর দেরি না করে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক ।
কুয়েত এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ অফিস কোথায়
আমরা যদি কখনো সরাসরি কুয়েত এয়ারলাইন্স অফিস থেকে টিকিট কাটতে চাই অথবা টিকিটের রিফান্ড নিতে চাই বা অন্যান্য ঝামেলার সম্মুখীন হলে সেগুলো নির্মূল করতে চাই তাহলে অবশ্যই সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করার দরকার হয় । আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে কুয়েত এয়ারলাইন্স এর অফিস রয়েছে । সেই অফিসের ঠিকানা নিম্নে উল্লেখ করা হলো ।
কুয়েত এয়ারলাইন্স অফিস ঠিকানা – গুলশান পিংকসিটি রোড # ১০৩, গুলশান এভিনিউ, ঢাকা ১২১২ ।
কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকিট চেক করার নিয়ম
আপনি যদি কখনো অনলাইন থেকে কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকিট কেনেন তাহলে সে টিকিটের মেয়াদ আছে কিনা তা চেক করা দরকার । তাছাড়া অনেক সময় আপনি যদি দালাল অথবা এজেন্সির মাধ্যমে টিকিট কিনেন তাহলে সেই টিকিট আসল নাকি জাল টিকিট চেক করা দরকার । এখন কিভাবে কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকিট চেক করা যায় সে সম্পর্কে জানব । তাই নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে থাকুন ।
অনলাইনে কুয়েত এয়ারলাইন্স টিকিট চেক করার জন্য প্রথমে মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে এই https://www.kuwaitairways.com/en/online-check-in সাইটে ভিজিট করুন ।
তখনত আমাদের সামনে কুয়েত এয়ারলাইন্স এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট প্রকাশিত হবে । এখন আমরা প্রথমে “Identification Type” অপশন থেকে “E-TICKET Number” সিলেক্ট করব ।
তারপর “E-TICKET Number” এর ঘরে ই টিকিট নাম্বারটি বসাবো এবং আমাদের নামের লাস্ট নাম দিব ।
অতঃপর নিচে থাকা Check in বাটনে ক্লিক করব তাহলেই আমরা দেখতে পাবো আমাদের টিকেটের সর্বশেষ স্ট্যাটাস সম্পর্কে সেখানেই দেখতে পাব টিকিটের মেয়াদ আছে কিনা এবং টিকিটটি আদৌ আসল নাকি জাল টিকিট ।
কুয়েত এয়ারলাইন্সে কত কেজি মাল আনা যায়
আমাদের অনেক ভাই ও বোন বাংলাদেশ থেকে কুয়েত যেতে এবং কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসার সময় কত কেজি মাল আনতে পারবেন সে সম্পর্কে জানতে চান । হ্যাঁ আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয়টি সম্পর্কে জানা দরকার । তাহলে পরবর্তীতে আমরা যাতে কোন ঝামেলায় না পড়ি সে সম্পর্কে আগেই সচেতন হওয়া উচিত ।
আমরা কুয়েত এয়ারলাইন্সের ইকোনমিক ক্লাসে ২৩ কেজি + ২৩ কেজি সর্বমোট ৪৬ কেজি, বিজনেস ক্লাসে ৩২ কেজি + ৩২ কেজি সর্বমোট ৬৪ কেজি এবং ফাস্ট ক্লাসে ৩২ কেজি + ৩২ কেজি + ৩২ কেজি সর্বমোট ৯৬ কেজি মাল আনা অথবা নেওয়া করতে পারব ।
কেন কুয়েত এয়ারলাইন্স ব্যবহার করব?
আমরা ইতিমধ্যে কিভাবে কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমান টিকিট চেক করা যায় এবং কত কেজি মাল আনা নেয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে পেরেছি । কিন্তু অনেকের প্রশ্ন হতে পারে কেন আমরা কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমান ব্যবহার করব? হ্যাঁ আপনার এই প্রশ্নটি খুবই যুক্তিসঙ্গত একটি প্রশ্ন বলে আমি মনে করি ।
আপনি যদি কম খরচে সঠিক সময়ে উচ্চ আরামদায়ক সিট ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে কুয়েত অথবা কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসতে চান তাহলে অবশ্যই কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমান ব্যবহার করুন । তাই আমরা যদি কখনো বাংলাদেশ হতে কুয়েত এবং কুয়েত হতে বাংলাদেশের যাতায়াত করি তাহলে অবশ্যই কুয়েত এয়ারলাইন্স বিমান ব্যবহার করব ।
আমাদের শেষ কথা
আজকের পোস্টে বর্তমান সময়ের অন্যতম বিলাসবহুল ও দ্রুতগতির বিমান কুয়েত এয়ারলাইন্সের টিকিট কিভাবে অনলাইনে চেক করা যায় এবং কুয়েত এয়ারলাইন্স ব্যবহার করে কত কেজি মাল নেওয়া যায় সহ আরো অসংখ্য তথ্য জানতে পেরেছি । আপনি যদি কখনো বাংলাদেশ টু কুয়েত অথবা কুয়েত টু বাংলাদেশে যাতায়াত করতে চান তাহলে অবশ্যই কুয়েত এয়ারলাইন্স ব্যবহার করুন ।
সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুবই ভালো লেগেছে । সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকার পান তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব ও ফ্যামিলিতে পোস্টটি শেয়ার করবেন । তাছাড়া আমার এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । আজকের মত এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকুন । সুস্থ থাকুন । আল্লাহ হাফেজ ।