আমাদের অনেক ভাই ও বোন দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত এই বিষয়ে জানতে চান । আপনিও কি এ সম্পর্কে তথ্য খুঁজতেছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয় তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কারণ আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদনের নিয়ম, এই ভিসা পেতে কি কি লাগে এবং ভিসার দাম কত টাকা ।
আমরা প্রায় সকলেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করি । বাংলাদেশে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘোরার জন্য অন্যতম দর্শনীয় স্থান জাফলং, আহসান মঞ্জিল, বগুড়া মহাস্থানগড়, কক্সবাজার এবং কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত সহ আরো অসংখ্য দর্শনীয় স্থান । তবে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আমরা চাইলে বিদেশেও ভ্রমণ করে আসতে পারি ।
আরও পড়ুন ➝ দুবাই কোম্পানি ভিসা বেতন কত
আপনার আর্থিক অবস্থা যদি ভালো হয় এবং যদি চান পরিবার-পরিজন নিয়ে বিদেশে ঘুরে আসবেন তাহলে অবশ্যই দুবাইতে চলে যান । দুবাইতে ঘুরে ফিরে দেখার জন্য রয়েছে অসংখ্য পার্ক, রিসোর্ট এবং রেস্টুরেন্ট ইত্যাদি । যেগুলো দেখলে আপনার মন মুহুর্তের মধ্যে প্রফুল্ল হয়ে উঠবে ।
আপনি যদি ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন পরিবার-পরিজন নিয়ে দুবাইতে ভিজিট ভিসা অর্থাৎ দুবাই টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যাতায়াত করবেন তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে । তাই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক ।
দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম কত
আপনি যদি দুবাই টুরিস্ট ভিসা পেতে চান তাহলে অবশ্যই জানার দরকার হবে এই ভিসার দাম কত টাকা । তবে দুবাই ভিজিট ভিসার খরচ সম্পর্কে জানার পূর্বে জেনে নিতে হবে টুরিস্ট ভিসা আপনি নিজে থেকে আবেদন করবেন নাকি কোন এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে করবেন । আপনি যদি এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন করেন তাহলে বেশি টাকা খরচ করতে হবে ।
কিন্তু আপনি যদি মনে করেন আমি অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি বুঝি তাহলে নিজে থেকে দুবাই ভিজিট ভিসা বা টুরির ভিসা আবেদন করতে পারেন । তাহলে এক্ষেত্রে আপনার এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে ভিসা তৈরি করলে যত টাকা খরচ হতো তার অর্ধেক করেছে তৈরি করতে পারবেন । এতে দেখা যাবে আপনার সময় এবং অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে ।
তবে এজেন্সি বলুন অথবা ব্যক্তিগত বলুন সব মিলিয়ে গড় হিসাব করলে পাওয়া যায় দুবাই টুরিস্ট ভিসার দাম ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা । আপনার হাতের বাজেট যদি উপরোক্ত অ্যামাউন্ট এর মধ্যে হয় তাহলে আপনি দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে আসতে পারবেন ।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা পেতে কি কি লাগে
আপনি যদি কখনো দুবাই টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে চান তাহলে কি কি ডকুমেন্ট বা কাগজপত্র প্রথমে সংগ্রহ করে নিতে হবে তা জানতে হবে । কেননা ওই সকল ডকুমেন্টের উপর ভিত্তি করে আপনার টুরিস্ট ভিসা তৈরি হবে । টুরিস্ট ভিসা তৈরি করার জন্য যা যা কাগজপত্র ডকুমেন্ট লাগে তা নিম্নে তুলে ধরা হলো ।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- বৈধ পাসপোর্ট এর ফটোকপি
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- গত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট কপি
- ভ্রমণ করার জন্য ২৫০০ দিরহাম ক্যাশ ডিপোজিট
আপনি যদি কখনো দুবাইতে ভিজিট ভিসা পেতে চান তাহলে অবশ্যই উপরে উল্লেখিত কাগজপত্র সবার প্রথমে সংগ্রহ করে নিবেন । তারপর আপনার টুরিস্ট ভিসার খরচ বাবদ ২৫০০ দিরহাম ক্যাশ ডিপোজিট করে নেবেন । আশা করি আপনার ভিসার কাজ সফলভাবে হয়ে যাবে ।
দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম
আমরা যদি কখনো দুবাইতে টুরিস্ট হিসেবে যেতে চাই তাহলে অবশ্যই ভিসার আবেদন করতে হবে । অনেকে কিভাবে দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে জানেন না । আপনি চাইলে দুবাই টুরিস্ট ভিসা দুইভাবে আবেদন করতে পারেন ।
- আপনার পরিবারের কেউ বা এজেন্সির মাধ্যমে ।
- টুরিস্ট বুকিং ওয়েবসাইট থেকে ।
আপনার পরিবার অথবা আত্মীয়-স্বজনের কেউ যদি দুবাই থাকে তাহলে তার মাধ্যমে আপনি টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন । তাছাড়া আপনি চাইলে কোন এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন । এর জন্য আপনাকে নিজে থেকে আবেদন করার কোন দরকার হবে না ।
আপনি যদি নিজে থেকে দুবাই টুরিস্ট ভিসার আবেদন করতে চান তাহলে এয়ারলাইন্স কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন যেমনঃ https://www.emirates.com, https://www.flydubai.com, https://www.etihad.com/। সেখান থেকে আপনার কোন ভিসাটি দরকার সেটি বাছাই করবেন । তারপর বিমানের সিট সিলেক্ট করে পেমেন্ট কনফার্মেশন করে দিবেন ।
দুবাই টুরিস্ট ভিসায় কি কাজ করার সুযোগ আছে
আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে দুবাই আসেন তাহলে সর্বোচ্চ ৯০ দিন দুবাই থাকার সুযোগ পাবেন । ৯০ দিনের বেশি হয়ে গেলে আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশে চলে আসতে হবে । কিন্তু অনেকে ট্যুরিস্ট ভিসাই ঘুরতে গিয়ে দুবাইয়ের উন্নত জীবনযাপন এবং উচ্চ বেতনের আশায় সেখানে থেকে যেতে চায় ।
আরও পড়ুন ➝ দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
তাই অনেকে প্রশ্ন করে আমরা যদি দুবাইতে টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করে যাই সেখানে কি কোন কাজ করার সুযোগ পাবো? হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে আপনি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে যদি দুবাইতে যান তাহলে কাজ করার সুযোগ পাবেন । তবে সেখানে আপনার আত্মীয়-স্বজন অথবা পরিবারের কেউ থাকলে আপনার কাজ পেতে খুব সহজ হবে ।
প্রথমে বাংলাদেশ থেকে দুবাইয়ের টুরিস্ট ভিসা সংগ্রহ করবেন । তারপর সেই ভিসা নিয়ে দুবাইতে চলে আসবেন । এই দুবাইয়ের ভিসার মেয়াদ থাকাকালীন অবস্থায় আপনাকে নতুন করে দুবাই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করতে হবে । তাহলেই আপনি দুবাইতে যে কোন কাজ করার সুযোগ পাবেন ।
আমাদের শেষ কথা
আজকের পোস্টে আমরা দুবাই টুরিস্ট ভিসা আবেদন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে, খরচ কত এবং আবেদনের নিয়ম সম্পর্কে জেনেছি । আপনি যদি কখনো দুবাই ভিজিট ভিসা নিয়ে যাতায়াত করতে যান তাহলে উপরে উল্লেখিত তথ্য অনুসারে আপনার যাতায়াত সম্পন্ন করতে পারেন ।
সুপ্রিয় দর্শক, আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুবই ভালো লেগেছে । সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকার পান তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব ও ফ্যামিলিতে এই পোস্টটি শেয়ার করবেন । তাছাড়া আমার এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । ধন্যবাদ ।