আমাদের অনেক ভাই ও বোন দুবাই থেকে স্বর্ণ আনার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান । আপনিও কি অনলাইনে এই বিষয়ে তথ্য খুঁজতেছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কেননা আজকের পোস্টে আমরা জানবো দুবাই থেকে কত গ্রাম সোনা আনা যায় ও দুবাই থেকে সোনা আনার নিয়ম সম্পর্কে ।
বর্তমানে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উন্নত শহর দুবাইতে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে । মূলত দুবাইতে উন্নত জীবনযাপন করার পাশাপাশি প্রতি মাসে পরিবারের কাছে মোটা অংকের অর্থের জন্য আমরা বেশিরভাগ মানুষ দুবাই যেতে খুবই আগ্রহী ।
বর্তমানে অনেক তরুণ ও তরুণী দুবাইতে গিয়ে কাজ করার জন্য বেশি আগ্রহী আছেন । অনেক তরুণ ও তরুণী যখন দুই বছর পাঁচ বছর বা ৬ বছর দুবাই থাকার পর দেশে ফিরতে চায় তখন নিজের জন্য ও পরিবারের জন্য দুবাই থেকে স্বর্ণ আনতে চান । কিন্তু সর্বোচ্চ কতটুকু দুবাই থেকে বাংলাদেশের সোনা আনা যায় সে সম্পর্কে আমরা অনেকে জানিনা ।
আরও পড়ুন ➝ কাতার রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত
আপনি চাইলে কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত স্বর্ণ দুবাই থেকে আনতে পারবেন না । দুবাই থেকে স্বর্ণ আনার জন্য অবশ্যই একটা লিমিটেশন রয়েছে । আপনি যদি এই লিমিটেশন না মানেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে যখন বাংলাদেশ এয়ারপোর্টে অবতরণ করবেন তখন কাস্টম কর্মকর্তা কর্তৃক আপনার থেকে সোনা ফেরত নেওয়া হবে এবং সেক্ষেত্রে আপনার জেলও হতে পারে ।
তাই আমরা এখন দুবাই থেকে স্বর্ণ আনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো । আপনি যদি ইতিমধ্যে এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন । তো আর দেরি না করে চলুন আমাদের আজকের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক ।
দুবাই থেকে স্বর্ণ আনা যাবে কি?
আমাদের অনেক ভাই ও বোন জানতে চান দুবাই থেকে আদৌ কি স্বর্ণ আনা যাবে? উত্তরটি হচ্ছে হ্যাঁ, দুবাই থেকে আসলেই স্বর্ণ আনা যাবে । তবে আমাদের দুবাই থেকে সোনা আনার জন্য কিছু কিছু দিক-নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো অবশ্যই মানতে হবে । অন্যথায় আমাদের জেল ও জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে ।
দুবাই থেকে কতটুকু সোনা আনা যায়
আমরা ইতিমধ্যে কনফার্ম হয়েছি যে দুবাই থেকে বাংলাদেশে সোনা আনা যায় । এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা দুবাই থেকে কতটুকু স্বর্ণ বাংলাদেশে আনতে পারব? কারণ আপনি চাইলে কিন্তু বেশি পরিমাণে দুবাই স্বর্ণ বাংলাদেশে আনতে পারবেন না তার জন্য নির্দিষ্ট একটি পরিমাণ রয়েছে ।
একজন ব্যক্তি চাইলে দুবাই থেকে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম সোনা এক বারে নিয়ে আসতে পারবেন । তবে আপনি চাইলে যদি কয়েক বার দুবাই থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসেন অথবা কোন মাধ্যম ব্যবহার করে দুবাই থেকে বাংলাদেশে স্বর্ণ পাঠাতে চান তাহলে প্রতি বার সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম করে সোনা পাঠাতে পারবেন ।
দুবাই থেকে স্বর্ণ আনার নিয়ম
আমরা যদি দুবাই থেকে স্বর্ণ বাংলাদেশে আনতে চাই তাহলে তার কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে । অবশ্যই আমরা দুবাই স্বর্ণ আনার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো ফলো করবো । আপনি যদি কখনো দুবাই থেকে দেশে স্বর্ণ আনতে চান তাহলে প্রতিবার সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম সোনা আনতে পারবেন । তবে তার জন্য সরকারি ভ্যাট বা শুল্ক দিতে হবে ।
আরও পড়ুন ➝ কানাডা ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
আমরা সর্বশেষ আপডেট মতে জানতে পারি দুবাই থেকে স্বর্ণ আনার জন্য প্রতি ভরির জন্য ৪০০০ টাকা ভ্যাট বা শুল্ক দিতে হয় । তবে এর আগে দুবাই থেকে দেশে স্বর্ণ আনার জন্য ভ্যাট অথবা আমদানি শুল্ক প্রতি ভরির জন্য ২০০০ টাকা দিতে হতো । তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন সময়ের সাথে সাথে ভ্যাট বা শুল্কের পরিমাণ পরিমাণ কম অথবা বেশি হতে পারে ।
দুবাই থেকে কত গ্রাম স্বর্ণ আনা যায়
আপনি যদি কখনো দুবাই থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসেন তখন নিজের ও পরিবারের জন্য স্বর্ণ আনতে পারবেন । সেক্ষেত্রে ওই সময় আপনি সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম দুবাই স্বর্ণ আনার সুযোগ পাবেন । তবে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন এই ১১৭ গ্রাম প্রতি বার আনতে পারবেন । এভাবে আপনি যতবার ইচ্ছা ততবার ১১৭ গ্রাম করে দুবাই সোনা দেশে আনতে পারবেন ।
কেন দুবাই থেকে স্বর্ণ আনবেন?
আপনি যদি ইতিমধ্যে দুবাই অবস্থান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই নিজের অথবা পরিবারের জন্য দুবাই স্বর্ণ আনতে পারেন । আপনি যদি অল্প বয়সে অর্থাৎ বিয়ে না করে দুবাই যান তাহলে যদি ভবিষ্যতে বিয়ে করেন তাহলে নিজের বিয়ের কথা চিন্তা করে দুবাই থেকে স্বর্ণ আনতে পারেন ।
অথবা ইতিমধ্যে আপনি যদি বিবাহিত হয়ে থাকেন তাহলে স্ত্রীর জন্য স্বর্ণ আনতে পারেন । তাছাড়া আপনার পরিবারের মা ও বোনের জন্য দুবাই থেকে স্বর্ণা আনতে পারেন । তবে আসল কথা হচ্ছে দেশের বাজারে আপনি খাঁটি সোনা পাবেন না এবং দামও বেশি নেওয়া হবে । তাই অল্প টাকা খরচ করে খাঁটি সোনা পাওয়ার জন্য হলেও আপনি দুবাই থেকে স্বর্ণ নিয়ে আসবেন ।
আমাদের শেষ কথা
আজকের পোস্টে আমরা একজন ব্যক্তি কত গ্রাম সোনা দুবাই থেকে আনতে পারবেন এবং কিভাবে সোনা আনা যায় তার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছি । আপনি যদি একজন দুবাই প্রবাসী হয়ে থাকেন তাহলে নিজের জন্য পরিবারের জন্য অবশ্যই দুবাই থেকে সোনা নিয়ে আসুন । কারণ দেশের বাজারে বেশি দামে ভেজাল সোনা কেনার থেকে দুবাই থেকে কম দামে খাটি সোনার কেনা অনেক ভালো ।
সম্মানিত পাঠক, আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুবই ভালো লেগেছে । সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকার পান তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও ফ্যামিলিতে পোস্টটি শেয়ার করবেন । তাছাড়া আমার এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । ধন্যবাদ ।