আপনি কি ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চ দিয়ে যেতে যাচ্ছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয় তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কেননা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চের মাধ্যমে যাওয়া যায় । তাছাড়া এই যাত্রা পথে আমরা কোন কোন লঞ্চ ব্যবহার করতে পারব, সময়সূচী এবং ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে ।
আমরা অনেকেই ঢাকা থেকে চাঁদপুর লঞ্চে যেয়ে থাকি । আপনারা হয়তো জেনে অবাক হবেন ঢাকা থেকে চাঁদপুর যেতে হলে আপনাকে নদী পথে যেতে হবে । আপনি যদি নদীপথ ব্যবহার করে যেতে চান তাহলে অবশ্যই লঞ্চ ব্যবহার করতে হবে । ঢাকা হতে চাঁদপুরের দূরত্ব ১০৯ কিলোমিটার উপরে । এত দীর্ঘ দূরত্বে নদীপথ আপনি লঞ্চে ব্যবহার করে খুব দ্রুত যেতে পারবেন ।
আরও পড়ুন ➝ কানাডা জব ভিসার খরচ কত ও আবেদনের নিয়ম
ঢাকা হতে চাঁদপুর যাওয়ার জন্য নদী পথে বেশ কিছু জনপ্রিয় লঞ্চ চলাচল করছে । এ সকল লঞ্চগুলোর সিট আরামদায়ক এবং টিকেটের মূল্য অনেক কম । তবে আমরা অনেকেই ঢাকা হতে চাঁদপুর যেতে চাই ঠিকই কিন্তু কখন লঞ্চ আসবে এবং কত টাকা ভাড়া হবে এই সকল বিষয়ে কিছুই জানিনা ।
আপনি যদি ইতিমধ্যে ঢাকা হতে চাঁদপুর যাওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে । তাই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন । তো আর দেরি না করে চলুন আমাদের আজকের মূল আলোচনায় যাওয়া যাক ।
ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের নাম
বর্তমানে ঢাকা থেকে চাঁদপুর অথবা চাঁদপুর থেকে ঢাকা নদী পথে চলার জন্য বেশ কিছু লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করছে । আমরা যদি ওই সকল লঞ্চ গুলোর নাম জানি তাহলে খুব সহজে আমাদের পছন্দের লঞ্চ বাছাই করতে পারব এবং সময়মতো আমাদের কাঙ্কিত গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবো । এখন নিচে বেশ কয়েকটি লঞ্চের নাম তুলে ধরা হলো ।
১. এম.ভি সোনার তরী
২. এম.ভি মেঘনা রাণী
৩. এম.ভি জয়মঙ্গল
৪. এম.ভি রহিমন
৫. এম.ভি আল আমিন
৬. এম.ভি শাহজাহান
৭. এম.ভি আব্দুল্লাহ
৮. এম.ভি মুন্সুর আলী
৯. এম.ভি সোনার বাংলা
১০. এম.ভি লায়লা
১১. এম.ভি নূরজাহান
১২. এম.ভি আল-হাবিব
১৩. এম.ভি রহমত
১৪. এম.ভি জয়শ্রী
১৫. এম.ভি স্বর্ণালী
১৬. এম.ভি মধুমতি
১৭. এম.ভি শ্যামলী
১৮. এম.ভি আকাশ
১৯. এম.ভি বাদশাহ
ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চ সময়সূচি
আপনি যদি কখনো লঞ্চ ব্যবহার করে ঢাকা থেকে চাঁদপুর যান তাহলে লঞ্চের সময়সূচি সম্পর্কে জানা দরকার । কেননা আপনি যদি লঞ্চের সময় সম্পর্কে অবগত না থাকেন তাহলে কোন লঞ্চ কখন যাত্রা শুরু করে এবং কখন গিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে তার কিছুই বলতে পারবেন না । এখন উপরে উল্লেখিত লঞ্চ সমুহের সময়সূচি তুলে ধরা হলো ।
লঞ্চের নাম ছাড়ার সময়
এম.ভি সোনার তরী সকাল————–সকাল ০৬ঃ৪৫
এম.ভি মেঘনা রাণী সকাল————–সকাল ০৮ঃ০০
এম.ভি জয়মঙ্গল সকাল————–সকাল ০৮ঃ৩০
এম.ভি রহিমন সকাল————–সকাল ০৯ঃ০০
এম.ভি আল আমিন————– সকাল ০৯ঃ৩০
এম.ভি শাহজাহান————– সকাল ১০ঃ০০
এম.ভি আব্দুল্লাহ————– সকাল ১০ঃ৩০
এম.ভি মুন্সুর আলী————– সকাল ১১ঃ০০
এম.ভি সোনার বাংলা————– দুপুর ১২ঃ০০
এম.ভি লায়লা————– দুপুর ০১ঃ০০
এম.ভি নূরজাহান————– দুপুর ০২ঃ০০
এম.ভি আল-হাবিব————– দুপুর ০৩ঃ০০
এম.ভি রহমত————– বিকাল ০৪ঃ০০
এম.ভি জয়শ্রী————– বিকাল ০৫ঃ০০
এম.ভি স্বর্ণালী————– সন্ধ্যা ০৬ঃ০০
এম.ভি মধুমতি————– সন্ধ্যা ০৭ঃ০০
এম.ভি শ্যামলী————– রাত ০৮ঃ০০
এম.ভি মেঘনা————– রাত ০৯ঃ০০
এম.ভি আকাশ————– রাত ১০ঃ০০
এম.ভি বাদশাহ————– রাত ১১ঃ০০
ঢাকা টু চাঁদপুর লঞ্চের ভাড়া
আমরা ইতিমধ্যে ঢাকা হতে চাঁদপুর নদী পথে চলাচল করার জন্য বেশ কিছু লঞ্চের নাম এবং সময়সূচী সম্পর্কে জেনেছি । এখন আমরা জানবো ঐ সকল চলমান লঞ্চের ভাড়া কত টাকা । যদি আমরা এই বিষয়ে জানি তাহলে আমাদের পছন্দের সিট বুকিং করতে পারব এবং গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবো । আপনাদের সুবিধার্থে ঢাকা থেকে চাঁদপুর চলাচলকারী লঞ্চের ভাড়া নিম্নে উল্লেখ করা হলো ।
এম.ভি সোনার তরী——————— ২০০-৩০০ টাকা
এম.ভি মেঘনা রাণী———————২৫০-৩৫০ টাকা
এম.ভি জয়মঙ্গল———————২৫০-৩৫০ টাকা
এম.ভি রহিমন———————২৫০-৩৫০ টাকা
এম.ভি আল আমিন———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি শাহজাহান———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি আব্দুল্লাহ———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি মুন্সুর আলী———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি সোনার বাংলা———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি লায়লা———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি নূরজাহান———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি আল-হাবিব———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি রহমত———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি জয়শ্রী———————৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি স্বর্ণালী———————৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি মধুমতি———————৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি শ্যামলী———————৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি মেঘনা———————৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি আকাশ———————৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি বাদশাহ———————৩৫০-৪৫০ টাকা
আমাদের শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, আজকের পোস্টে আমরা জানতে পেরেছি ঢাকা থেকে চাঁদপুর নদী পথে চলাচল করার জন্য বেশ কয়েকটি লঞ্চের নাম, ভাড়ার তালিকা এবং সময়সূচী সম্পর্কে । আপনি যদি কখনো মনে করেন নদীপথে লঞ্চ ব্যবহার করে ঢাকা বুড়িগঙ্গা থেকে চাঁদপুর পৌঁছাবেন তাহলে উপরে উল্লেখিত তথ্য ফলো করে আপনার যে লঞ্চ পছন্দ হয় সেটির টিকিট বুকিং করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারেন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে । পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক ও টুইটার প্রোফাইলে শেয়ার করবেন । সেই সাথে আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে শেয়ার করতে পারেন । তাছাড়া এই পোস্ট নিয়ে যদি আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । ধন্যবাদ ।