মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম সম্প্রদায় ভুক্ত উন্নত একটি দেশের নাম হচ্ছে সৌদি আরব । বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন । তাই আমরা অনেকে জানতে চাই সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত ।
আমরা অনেকে মনে করি বিদেশ যেতে হলে উচ্চতর পড়াশোনা বা ডিগ্রী থাকলে ভালো হয় । দেখুন আপনি যদি পড়াশুনা নাও করে থাকেন তাহলেও আপনি ক্লিনার ভিসায় সৌদি আরব আসতে পারেন । এখানে আপনি শিক্ষিত ব্যক্তি না হয়েও মোটামুটি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।
আরও পড়ুন ➝ কাতার কোম্পানি ভিসা বেতন কত
অনেকে আবার মনে করতে পারেন ক্লিনার ভিসা শুনতেই কেমন লাগে তাই না? কিন্তু ভাই কোন পেশাই আমরা ছোট বলতে পারি না । আপনার যদি ক্লিনিং কাজে অভিজ্ঞতা থাকে এবং এটাকে যদি আপনি প্রফেশন হিসেবে নিতে চান তাহলে ভবিষ্যতে আপনি ভালো কিছু করতে পারেন ।
এখন আমরা জানবো সৌদি আরব কিনার ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে । আপনি যদি ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন ।তো চলুন আমাদের আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক ।
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা পেতে কি কি লাগে
আমরা যখন সৌদি আরব কিনার ভিসা সংগ্রহ করতে চাইবো তখন প্রথমে মাথায় রাখতে হবে আমাদের বেশ কিছু কাগজপত্র জোগাড় করা লাগবে । ওই সকল কাগজপত্র ব্যতীত আপনি চাইলে কিন্তু সৌদি আরবের ক্লিনার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন না । আবার অনেকে কিন্তু জাল ভিসা বা ভুয়া ভিসা নিয়ে সৌদি আরব আসছেন ।
আমরা যদি ফেসবুক ইউটিউব অথবা টেলিভিশন দেখি তাহলে দেখতে পাই অনেকে জাল ভিসা নিয়ে সৌদি আরব এসেছেন এবং পুলিশ গ্রেফতার করেছে অথবা বিভিন্ন দালালের খবর পড়ে জীবন প্রায় বিপন্ন হয়ে পড়েছে । আমরা অবশ্যই চাইবো সঠিক কাগজপত্র নিয়ে অরজিনাল ভিসা সংগ্রহ করে সৌদি আরব আসার জন্য ।
তাই আমাদের সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা পেতে হলে কি কি কাগজপত্র লাগবে তা জানা দরকার । আপনাদের সুবিধার্থে এখন নিম্নে ওই সকল কাগজপত্র গুলোর নাম তুলে ধরা হলো ।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি
- সম্পূর্ণ বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট
- করোনা টিকার সনদপত্র
সাধারণত সৌদি আরবের ক্লিনার ভিসা পেতে হলে উল্লেখিত কাগজপত্র দরকার হয় । আপনি প্রথমে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো নিয়ে আপনার কাঙ্খিত ভিসা এজেন্সি অথবা দালালের কাছে জমা দিবেন । অতঃপর তারা যদি আরো কোন অতিরিক্ত কাগজপত্র চাই তাহলে তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী জমা দিবেন ।
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত
আপনি যদি কখনো বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা নিয়ে যেতে চান তাহলে কত টাকা বেতন পাবেন তা শুরুতেই জেনে নেওয়া জরুরী । কারণ দেখা গেল আপনি অনেক টাকা খরচ করে সৌদি আরব গেলেন এবং সেখানে গিয়ে আশানরূপ কোন বেতন পেলেন না তাহলে আপনার হতাশ হওয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা বলে আমি মনে করি ।
আরও পড়ুন ➝ দুবাই হোটেল ভিসা বেতন কত
সাধারণত নতুন অবস্থায় সৌদি আরব কেনার ভিসা বেতন হচ্ছে সর্বনিম্ন ৬০০ রিয়াল এবং সর্বোচ্চ ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত ধরা হয়ে থাকে । আপনি যদি ক্লিনিং কাজে অভিজ্ঞ হয়ে থাকেন তাহলে শুরুতেই সর্বোচ্চ ১৫০০ রিয়াল পর্যন্ত বেতনে চাকরি করার সুযোগ রয়েছে ।
তবে যারা সম্পূর্ণ নতুন অবস্থায় সৌদি আরবে ক্লিনিং কাজে আসেন তাদের বেতন ৬০০ রিয়াল ধরা হয় যা তুলনামূলক অনেক কম । তবে আপনি যদি ভাল কোন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির হয়ে ক্লিনিং কাজে আসেন তাহলে যদিও বা শুরুতে কম বেতন পাবেন । কিন্তু কাজের অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে আস্তে আস্তে বেতন বাড়িয়ে দেওয়া হবে ।
সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা আবেদনের নিয়ম
আমরা বেশিরভাগ মানুষ ভিসা এজেন্সি অথবা দালালের মাধ্যমে সৌদি আরবের ভিসা আবেদন করে থাকি । কিন্তু আপনি চাইলে নিজে নিজে সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা সহ যেকোনো ধরনের ভিসা আবেদন করতে পারবেন । এখন কিভাবে সৌদি ক্লিনার ভিসা আবেদন করবেন তার জন্য নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে থাকুন ।
- প্রথমে আপনার মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে https://ksavisa.sa/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন ।
- এখন ভিসার ক্যাটাগরি থেকে “Work” সিলেক্ট করুন । তারপর সিজনাল পার্মানেন্ট অথবা টেম্পোরারি যে ভিসা চাচ্ছেন তা সিলেক্ট করুন ।
- আপনার সামনে এখন বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইবে সেগুলো দিয়ে সাবমিট করুন এবং ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে নিন ।
- অতঃপর আপনার সৌদি আরব ভিসার আবেদন ফি প্রদান করুন । ব্যাস আপনার ভিসা আবেদন সম্পন্ন হয়েছে ।
- সবশেষে আপনার আবেদনকৃত ডাউনলোড কপিটি বিশ্বস্ত ভিসা এজেন্সি অথবা দালালের কাছে জমা দিন ।
সৌদি আরবে ক্লিনাররা কি কি কাজ করেন
আপনি যদি কখনো বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে ক্লিনার ভিসা নিয়ে আসেন তাহলে কি কি কাজ পাবেন তা প্রথমে জেনে নিন । এখন আপনাদের সামনে আমি তুলে ধরতেছি সাধারণত কোন ব্যক্তি সৌদি আরবে ক্লিনিং ভিসায় কি কি কাজ করে ।।
- মসজিদ
- মাদ্রাসা
- বাসা বাড়ি
- রাস্তাঘাট
- অফিস
- আদালত
সাধারণত কোন ব্যক্তি যদি সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা নিয়ে আসেন তাহলে উল্লেখিত জায়গায় ক্লিনিং কাজ করে থাকেন ।
আমাদের শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, আজকের পোস্টে আমরা বর্তমান সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত উন্নত দেশ সৌদি আরব ক্লিনার ভিসা বেতন কত এবং কি কি কাগজপত্র লাগে সহ আরো বেশ কিছু তথ্য জানতে পেরেছি । আপনি যদি ক্লিনার ভিসায় সৌদি যেতে আগ্রহী হন তাহলে উল্লেখিত তথ্যগুলো ফলো করতে পারেন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুবই ভালো লেগেছে । সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকার পান তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও ফ্যামিলিতে পোস্টটি শেয়ার করুন । তাছাড়া আমার এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানান । ধন্যবাদ ।