আপনি কি ওয়ালটন ল্যাপটপ কিস্তিতে নিতে চাচ্ছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয় তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কেননা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব কিভাবে কিস্তিতে ওয়ালটন ল্যাপটপ নেওয়া যায়, এর যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা, এবং শর্তাবলী সম্পর্কে ।
আমরা জানি দৈননিন্দ জীবনের সাথে ল্যাপটপ নামক শব্দটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত । আপনি যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে ভালোবাসেন তাহলে অবশ্যই ল্যাপটপ ব্যবহার করা দরকার । এই ল্যাপটপের মাধ্যমে আপনি স্কুল-কলেজের এসাইনমেন্ট তৈরি, অনলাইন কেনাকাটা, ফ্রিল্যান্সিং করা, মুভি দেখা এবং গান শোনা সব কাজ করতে পারবেন ।
এদিক থেকে বিবেচনা করলে আমরা দৈননিন্দ জীবনে ল্যাপটপ ছাড়া কল্পনা করা অসম্ভব । আমাদের বাংলাদেশে অসংখ্য কোম্পানির ল্যাপটপ পাওয়া যায় । কিন্তু বেশিরভাগ ল্যাপটপগুলো বাহিরের দেশের হয় । তবে বাংলাদেশে সম্পূর্ণ দেশীয় ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন তাদের নিজস্ব ল্যাপটপ বাজারে সরবরাহ করছে ।
আরও পড়ুন ➝ কিস্তিতে সিঙ্গার ল্যাপটপ কেনার নিয়ম
ওয়ালটন আমাদের দেশীয় পণ্য এবং তারা সম্পূর্ণ দেশীয় ইউনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার মাধ্যমে এই সকল ল্যাপটপ তৈরি করছে । এর ফলে ল্যাপটপ দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় এবং টেকসই হয়ে থাকে । তাছাড়া আপনি যদি ওয়ালটন থেকে ল্যাপটপ কিনেন তাহলে এক থেকে দুই বছরের ওয়ারেন্টি এবং রিপ্লেসম্যান্ট গ্যারান্টি তো থাকছেই ।
তাই আমরা বাহিরের দেশের ল্যাপটপের দিকে নজর না দিয়ে বেশিরভাগ মানুষ এখন ওয়ালটন ল্যাপটপের দিকে নজর দিচ্ছি । তবে আমাদের দেশের অনেক মানুষ দারিদ্র এবং হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ থাকে না । কিন্তু ঘরে একটি ল্যাপটপ না থাকলেই নয় । এই সমস্যার সমাধানের জন্য ওয়ালটন বাংলাদেশ কিস্তিতে ল্যাপটপ নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে ।
আপনি যদি ইতিমধ্যে কিস্তিতে ল্যাপটপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য ওয়ালটনের তৈরি ল্যাপটপ বেস্ট সলিউশন হতে পারে । তাই এই ল্যাপটপের যাবতীয় সুবিধা এবং শর্তাবলী সবকিছু জানতে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন । তো চলুন শুরু করা যাক ।
ওয়ালটন ল্যাপটপ কিস্তিতে নেওয়ার সুবিধা
আমরা সকলেই জানি ওয়ালটন আমাদের দেশীয় পণ্য যারা নিজেদের তৈরি ল্যাপটপ বাজারে সরবরাহ করছে . এখন আমরা যদি তাদের থেকে ল্যাপটপ কিস্তিতে নিই তাহলে কি কি সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারব তা জেনে নেওয়া দরকার । কি কি সুবিধা পাব নিচে তা উল্লেখ করা হলো ।
- কিস্তিতে ল্যাপটপ নেওয়ার পর ৪ মাসের মধ্যে পুরো টাকা দিতে পারলে নগদ টাকায় ল্যাপটপ কেনার সুবিধা
- সর্বোচ্চ ৩৬ মাসের কিস্তি দেওয়ার সুবিধা ।
- ১০% ডাউন পেমেন্ট থেকে ল্যাপটপের কিস্তি শুরু হয় ।
- মাদ্রাসা এবং এতিমখানার জন্য সকল ল্যাপটপে ০% পার্সেন্ট ডাউনপেমেন্টে কিস্তি নেওয়ার সুবিধা ।
- শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য ১২ মাসের কিস্তি দেওয়ার সুবিধা ।
- মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, রকেট এবং নগদ) মাধ্যমে কিস্তি দেওয়ার সুবিধা ।
উপরে উল্লেখিত সুবিধা ছাড়াও আপনি আরো অসংখ্য সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন যদি ওয়ালটন বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে কিস্তিতে ল্যাপটপ সংগ্রহ করে নেন ।
ওয়ালটন ল্যাপটপ কিস্তিতে নেওয়ার শর্তাবলী
ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে ল্যাপটপ কিস্তিতে নিলে আপনাকে বেশ কিছু শর্তাবলি মানতে হবে । সেই সাথে আপনাকে কিছু কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে । এখন কি কি শর্তাবলী মানতে হবে এবং ডকুমেন্ট জমা দিতে হবে তা নিচে উল্লেখ করা হলো ।
- ক্রেতার বয়স ১৮ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে ।
- জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ।
- পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ।
- দুইজন জামিনদারের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ।
- নমিনির জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ।
- ১০% বা তার অধিক ডাউন পেমেন্ট জমা দিতে হবে ।
উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্ট সাবমিট এবং শর্তাবলী মেনে চললে আপনি ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে কিস্তিতে ল্যাপটপ কিনতে পারবেন ।
ওয়ালটন ল্যাপটপ কিস্তিতে কেনার নিয়ম
আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি কিস্তিতে ওয়ালটন ল্যাপটপ কিনলে কি কি সুবিধা পাব এবং ল্যাপটপ নেওয়ার জন্য যাবতীয় ডকুমেন্ট এবং শর্তাবলী সম্পর্কে । এখন আমরা জানবো কিভাবে কিস্তিতে ওয়ালটন ল্যাপটপ সংগ্রহ করা যায় । তাই নিচের স্টেপ গুলো ফলো করতে থাকুন ।
সবার প্রথমে নিকটস্থ ওয়ালটন প্লাজায় যাবেন । সেখানে যাওয়ার পর আপনার পছন্দের ল্যাপটপটি বাছাই করবেন এবং ওখানকার কর্মকর্তাকে আপনার পছন্দের কথা বলবেন । তারপর উনার সাথে ল্যাপটপের মূল্য কত, ডাউনপেমেন্ট কত দিতে হবে এবং কত মাস কিস্তি দিতে হবে ইত্যাদি যাবতীয় যা যা কথোপকথন দরকার তা সেরে নিবেন ।
তাছাড়া অবশ্যই দুইজন জামিনদার সাথে নিয়ে ওয়ালটন প্লাজায় আপনাকে যেতে হবে । ওনাদের দুইজনের জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সেখানকার কর্মকর্তাকে দিতে হবে । তারপর উনি কিস্তির ফর্মে যাবতীয় তথ্য লিখবেন এবং সবশেষে আপনাদের সবাইকে সিগনেচার করতে বলবেন ।
ওই কিস্তির ফর্মে সিগনেচার করার পর সেখানকার কর্মকর্তা বলে দিবে যে তারিখে ল্যাপটপ কিনেছেন পরের মাসের ওই তারিখে আপনাকে কিস্তির টাকা দিতে হবে । সবশেষে ডাউনপেমেন্টের টাকা দিবেন । অতঃপর ওখানকার কর্মকর্তা আপনাকে ল্যাপটপটি বুঝিয়ে দিবে ।
আমাদের শেষ কথা
আজকের পোস্টটিতে আমরা ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে কিস্তিতে ল্যাপটপ নিলে কি কি সুবিধা পাব তা জানতে পেরেছি । তাছাড়া এই ল্যাপটপ নেওয়ার জন্য কি কি ডকুমেন্ট সাবমিট করতে হবে এবং শর্তাবলী মানতে হবে তাও জানতে পেরেছি । আপনি যদি ইতিমধ্যে কিস্তিতে ল্যাপটপ নিতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত তথ্য গুলো ফলো করে ওয়ালটন বাংলাদেশ থেকে নিতে পারেন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে । পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে রাখবেন । তাছাড়া এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্টে জানাবেন । অতএব আজকের মত এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকুন । সুস্থ থাকুন । আল্লাহ হাফেজ ।