আপনি কি চাঁদপুর টু বরিশাল লঞ্চের মাধ্যমে যেতে চান? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয় তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কেননা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব চাঁদপুর থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য কোন কোন লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করছে, ওই সকল লঞ্চের সময়সূচী এবং কোন লঞ্চের জন্য কত টাকা ভাড়া দিতে হবে ।
অনেকেই চাঁদপুর হতে বরিশাল লঞ্চ ব্যবহার করে নদীপথে যেয়ে থাকে । চাঁদপুর থেকে বরিশাল দূরত্ব হচ্ছে ১২৬ কিলোমিটার । এই দীর্ঘ দূরত্ব আপনাকে লঞ্চ ব্যবহার করার মাধ্যমে যেতে হবে । কিন্তু একটা বিষয়ে আপনার জন্য ভালো সেটা হচ্ছে আপনি লঞ্চের মাধ্যমে কম খরচে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছেন ।
আপনি যদি চাঁদপুর থেকে বরিশাল নদীপথে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে লঞ্চের ভাড়া দিতে হবে । এখানে বেশ কিছু লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করছে ।এই সকল লঞ্চের সিট গুলো খুবই আরামদায়ক এবং টিকেটের মূল্যও তুলনামূলক অনেক কম । সচরাচর বাস অথবা মাইক্রোতে চলাচল করলে যত টাকা খরচ হয় কিন্তু লঞ্চে অনেক টাকা কম খরচ হয় ।
আরও পড়ুন ➝ কানাডার ভিসা পাওয়ার সহজ উপায়
তাই অনেকে চাঁদপুর থেকে বরিশাল লঞ্চ ব্যবহার করার মাধ্যমে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে । আপনিও যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য তৈরি করা হয়েছে । তাই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন । তো চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক ।
চাঁদপুর টু বরিশাল লঞ্চের নামের তালিকা
বর্তমানে চাঁদপুর থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য নদীপথে বেশ কিছু লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করছে । এই সকল লঞ্চ গুলোর নাম সম্পর্কে যদি আমরা জানি তাহলে পছন্দ মতো লঞ্চ বাছাই করতে পারবো এবং আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দিতে পারব । আপনাদের সুবিধার্থে চাঁদপুর-বরিশাল নদীপথে চলাচলকারী বেশ কিছু লঞ্চের নাম তুলে ধরা হলো ।
- এম.ভি. সোনার বাংলা
- এম.ভি. মেঘনারানী
- এম.ভি. জয়মঙ্গল
- এম.ভি. আল আমিন
- এম.ভি. শাহজাহান
- এম.ভি. আব্দুল্লাহ
- এম.ভি. মুন্সুর আলী
- এম.ভি. সোনার তরী
- এম.ভি. লায়লা
- এম.ভি. নূরজাহান
- এম.ভি. আল-হাবিব
- এম.ভি. রহমত
- এম.ভি. জয়শ্রী
- এম.ভি. স্বর্ণালী
- এম.ভি. মধুমতি
- এম.ভি. শ্যামলী
- এম.ভি. মেঘনা
- এম.ভি. আকাশ
চাঁদপুর টু বরিশাল লঞ্চের সময়সূচি
চাঁদপুর থেকে বরিশাল যেতে হলে লঞ্চের সময়সূচি সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা খুবই দরকার । এর মূল কারণ হচ্ছে কোন লঞ্চ কখন গন্তব্যস্থলে পৌঁছায় এবং কখন যাত্রা শুরু করে সে সম্পর্কে না জানলে আমরা সঠিক সময়ে লঞ্চ ধরতে পারবো না এবং গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারবো না । এখন চাঁদপুর-বরিশাল নদীপথে লঞ্চ সময়ের সময়সূচি তুলে ধরা হলো ।
লঞ্চের নাম ছাড়ার সময়
এম.ভি. সোনার বাংলা >>>>> সকাল ০৬ঃ০০ টা
এম.ভি. মেঘনারানী >>>>> সকাল ০৭ঃ০০ টা
এম.ভি. জয়মঙ্গল >>>>> সকাল ০৮ঃ০০ টা
এম.ভি. আল আমিন >>>>> সকাল ০৯ঃ০০ টা
এম.ভি. শাহজাহান >>>>> সকাল ১০ঃ০০ টা
এম.ভি. আব্দুল্লাহ >>>>> সকাল ১১ঃ০০ টা
এম.ভি. মুন্সুর আলী >>>>> দুপুর ১২ঃ০০ টা
এম.ভি. সোনার তরী >>>>> দুপুর ০১ঃ০০ টা
এম.ভি. লায়লা >>>>> দুপুর ০২ঃ০০ টা
এম.ভি. নূরজাহান >>>>> দুপুর ০৩ঃ০০ টা
এম.ভি. আল-হাবিব >>>>> বিকাল ০৪ঃ০০ টা
এম.ভি. রহমত >>>>> বিকাল ০৫ঃ০০ টা
এম.ভি. জয়শ্রী >>>>> সন্ধ্যা ০৬ঃ০০ টা
এম.ভি. স্বর্ণালী >>>>> রাত ০৭ঃ০০ টা
এম.ভি. মধুমতি >>>>> রাত ০৮ঃ০০ টা
এম.ভি. শ্যামলী >>>>> রাত ০৯ঃ০০ টা
এম.ভি. মেঘনা >>>>> রাত ১০ঃ০০ টা
এম.ভি. আকাশ >>>>> রাত ১১ঃ০০ টা
চাঁদপুর টু বরিশাল লঞ্চের ভাড়া
চাঁদপুর থেকে বরিশাল যাওয়ার জন্য বেশ কিছু লঞ্চের নাম এবং সময়সূচি সম্পর্কে আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি । এখন আমরা জানবো ঐ সকল লঞ্চ সমুহের ভাড়া কত টাকা । তাহলে আমরা আমাদের বাজেট যত টাকা তার উপর ভিত্তি করে সিটের টিকিট কাটতে পারব এবং যাত্রা সম্পন্ন করতে পারবো । নিচে বেশ কিছু লঞ্চের ভাড়া তুলে ধরা হলো ।
এম.ভি. সোনার বাংলা………২০০-৩০০ টাকা
এম.ভি. মেঘনারানী………২৫০-৩৫০ টাকা
এম.ভি. জয়মঙ্গল………২৫০/৩৫০ টাকা
এম.ভি. আল আমিন………৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি. শাহজাহান………৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি. আব্দুল্লাহ………৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি. মুন্সুর আলী………৩০০-৪০০ টাকা
এম.ভি. সোনার তরী………৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি. লায়লা………৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি. নূরজাহান………৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি. আল-হাবিব………৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি. রহমত………৩৫০-৪৫০ টাকা
এম.ভি. জয়শ্রী………৪০০-৫০০ টাকা
এম.ভি. স্বর্ণালী………৪০০-৫০০ টাকা
এম.ভি. মধুমতি………৪০০-৫০০ টাকা
এম.ভি. শ্যামলী………৪০০-৫০০ টাকা
এম.ভি. মেঘনা………৪০০-৫০০ টাকা
এম.ভি. আকাশ………৪০০-৫০০ টাকা
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এখানে উল্লেখিত লঞ্চ গুলোর সময়সূচি ও ভাড়ার তালিকা সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী তুলে ধরা হয়েছে । এই সকল লঞ্চগুলোর সময়সূচী এবং ভাড়া যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে ।
আরও পড়ুন ➝ সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায়
আমাদের শেষ কথা
চাঁদপুর থেকে বরিশাল নদীপথে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু লঞ্চের নাম, ভাড়ার তালিকা এবং সময়সূচী সম্পর্কে আমরা আজকের পোস্টে জানতে পেরেছি । আমরা যদি কখনো নদীপথে চাঁদপুর হতে বরিশাল যেতে চাই তাহলে সবার প্রথমে পছন্দের লঞ্চ বাছাই করব । তারপর ওই লঞ্চের টিকিট কেটে আমাদের যাত্রা সম্পন্ন করব ।
সম্মানিত দর্শক, আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনি সামান্যতম হলেও উপকৃত হয়েছেন । পোস্টটি পড়ার পর যদি ভালো লাগে অবশ্যই আপনার ব্যবহৃত ফেসবুক ও টুইটার প্রোফাইলে শেয়ার করবেন । চাইলে আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও ফ্যামিলিতে শেয়ার করতে পারেন । অতএব আজকের মত এখানেই শেষ করছি । সবাই ভালো থাকুন । সুস্থ থাকুন । আল্লাহ হাফেজ ।