আপনি কি অনলাইনে দুবাই পার্টনার ভিসার দাম কত এবং কিভাবে দুবাই পার্টনার ভিসা পাওয়া যায় এই বিষয়ে তথ্য খুঁজতেছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয় তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কারণ আজকের পোস্টে আমরা দুবাই পার্টনার ভিসা কি, এর সুবিধা সমূহ, দাম কত এবং কিভাবে দুবাই পার্টনার ভিসা পাওয়া যায় আলোচনা করব ।
আমাদের বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে দুবাইতে প্রবাসী হিসেবে কাজ করছেন আবার কেউ কেউ দুবাইতে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দাঁড় করিয়েছেন । অতঃপর তারা হয় কোন প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন অথবা নিজের ব্যবসা দাঁড় করিয়ে অর্থ উপার্জন করছেন এবং সেই টাকা আমাদের বাংলাদেশে পাঠাচ্ছেন ।
আরও পড়ুন ➝ ইতালি স্পন্সর ভিসা ২০২৪ আবেদন
আপনার ভবিষ্যতে যদি চিন্তাভাবনা থাকে দুবাইতে যাবেন এবং সেখানে গিয়ে অর্থ রোজগার করবেন তাহলে দুইটি কারণে সেখানে যেতে পারেন । প্রথমটি হচ্ছে প্রবাসী হিসেবে দুবাইতে কাজ করতে এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে দুবাইতে ব্যবসা করার জন্য । আমাদের আজকের মূল বিষয় হচ্ছে ব্যবসা সম্পর্কিত ।
আপনি যদি দুবাইতে ব্যবসা করে অর্থ রোজগার করতে চান তাহলে অবশ্যই দুবাই পার্টনার ভিসা সংগ্রহ করতে হবে । এখন আমরা এই দুবাই পার্টনার ভিসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানবো । আপনি যদি এই বিষয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন । তো চলুন শুরু করা যাক ।
দুবাই পার্টনার ভিসা কি?
ধরে নিলাম, আপনার পরিবারের অথবা আত্মীয়-স্বজনের কেউ দুবাইতে ইতিমধ্যে অবস্থান করছে এবং ওই ব্যক্তির সেখানে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে । এখন সেই ব্যক্তি চাচ্ছে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অংশীদারিত্ব দেওয়ার জন্য । আপনি যদি সেখানে গিয়ে অংশীদারিত্ব বা শেয়ারে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে চান তাহলে একটা ভিসার দরকার হবে । সেই বিষয়টির নাম হচ্ছে দুবাই পার্টনার ভিসা ।
অর্থাৎ দুবাইতে যদি আপনি কোন ব্যক্তির সাথে বা প্রতিষ্ঠানের সাথে শেয়ার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান তাহলে দুবাই পার্টনার ভিসার দরকার হবে । তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে আপনি যদি দুবাইতে ব্যবসা করতে চান তাহলে অংশীদারিত্ব বা শেয়ার ব্যবসা করেন তাহলে দেখা যাবে খুব সহজে আপনি দুবাই পার্টনার ভিসা পেয়ে যাবেন ।
দুবাই পার্টনার ভিসার সুবিধা
দুবাইতে যাওয়ার জন্য বর্তমানে বেশ কিছু ভিসা চালু রয়েছে । প্রায় প্রতিটি ভিসার জন্য আলাদা আলাদা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে । আপনি যদি দুবাইয়ের পার্টনার ভিসা গ্রহণ করেন তাহলে কি কি সুযোগ সুবিধা পাবেন সে সম্পর্কে জানা দরকার । এখন আমরা এই ভিসার সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে জানব ।
- ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের সাথে শেয়ারের মাধ্যমে ব্যবসা করতে পারবেন ।
- ভিসার জন্য কোন এজেন্সি অথবা দালালের শরণাপন্ন হওয়া লাগবে না ।
- যে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির সাথে শেয়ারের মাধ্যমে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তার মাধ্যমে দুবাই পার্টনার ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন ।
- অন্যান্য ভিসার খরচের তুলনায় পার্টনার ভিসার খরচ অনেক কম হয় ।
তবে একটা বিষয় সব সময় মনে রাখবেন যদি কোন সময় দুবাইতে পার্টনার ভিসা নিয়ে আসেন তাহলে আপনি শুধুমাত্র শেয়ারের মাধ্যমে ব্যবসা করার অনুমতি পাবেন । কিন্তু কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির হয়ে কর্মচারী হিসেবে কাজ করার সুযোগ পাবেন না । যেমনটা আপনি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে গেলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সুযোগ পাবেন ।
দুবাই পার্টনার ভিসার দাম কত
আমরা যদি পার্টনার ভিসা নিয়ে দুবাইতে অংশীদারীতে ব্যবসা করতে চাই তাহলে অবশ্যই এই ভিসার দাম কত এ সম্পর্কে জানা অতীব জরুরী । এখানে আপনি কত বড় প্রতিষ্ঠান অথবা ব্যক্তির সাথে অংশীদারীতে ব্যবসা পরিচালনা করতে যাচ্ছেন তা বড় বিষয় নয় । আপনি পার্টনার ভিসা নিচ্ছেন তাই সকল পার্টনার ভিসার দাম একই রকম ।
আরও পড়ুন ➝ দুবাই ভাষা শেখার উপায়
বর্তমানে প্রতিটি দুবাই পার্টনার ভিসার জন্য দাম নির্ধারণ করে দেওয়া রয়েছে ১০,০০০ দিরহাম । যা বাংলাদেশী টাকায় রূপান্তর করলে ৩ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা (প্রতি দিরহাম সমান বাংলাদেশি ৩২ টাকা ৫ পয়সা) । তাই আপনি যদি কখনো দুবাইতে ব্যবসা করতে চান তাহলে অবশ্যই পার্টনার ভিসা নিয়ে আসতে পারেন ।
কিভাবে দুবাই পার্টনার ভিসা পাওয়া যায়?
আমরা ইতিমধ্যে দুবাই পার্টনার ভিসা দাম কত এবং এর সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি । কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কিভাবে দুবাই পার্টনার ভিসা পাব? আপনার পরিচিত কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান যার সাথে আপনি অংশীদারীতে ব্যবসা করতে চাচ্ছেন তার মাধ্যমে আপনি দুবাই পার্টনার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন যা আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি ।
আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যবসার ধরনটি যদি LLC লাইসেন্স হয় তাহলে খুব সহজে দুবাইয়ের পার্টনার ভিসা পেয়ে যাবেন । তাই যদি কখনো দুবাইতে এসে ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনার পরিচিত ব্যক্তির অথবা প্রতিষ্ঠানের আদৌ কি LLC লাইসেন্স আছে কিনা দেখে নিবেন । তাহলে খুব সহজে আপনি এই ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন ।
আমাদের শেষ কথা
সম্মানিত পাঠক, আজকের পোস্টটিতে আমরা কিভাবে দুবাই পার্টনার ভিসা পাওয়া যায়, এর সুবিধা ও দাম কত এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনেছি । আপনার চিন্তাভাবনা যদি থাকে আপনি দুবাইতে ব্যবসা করবেন এবং নিজের শক্ত ক্যারিয়ার দাঁড় করাবেন তাহলে অবশ্যই পার্টনার ভিসা সংগ্রহ করে দুবাই চলে আসুন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুবই ভালো লেগেছে । সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকার পান তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও ফ্যামিলিতে আমার এই পোস্টটি শেয়ার করবেন । তাছাড়া আমার এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । ধন্যবাদ ।