আমরা অনেকে জানতে চান দুবাই মেডিকেল টেস্ট আনফিট কেন হয় । আপনিও কি অনলাইনে এই বিষয়ে তথ্য খুঁজতেছেন? আপনার উত্তরটি যদি হ্যাঁ হয়ে থাকে তাহলে সঠিক জায়গাতে এসেছেন । কারণ আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব যদি দুবাই মেডিকেল টেস্ট আনফিট হয় তাহলে কি কি করণীয় ও দুবাই মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকে ।
আপনি যদি কখনো দুবাইতে পড়াশোনা, চাকরি অথবা ভ্রমণ করার জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল ফিট থাকতে হবে । আপনি যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকেন অর্থাৎ মেডিকেল আনফিট থাকেন তাহলে কিন্তু কখনো দুবাইতে যেতে পারবেন না । তাই আমাদের ১০০ শতাংশ মেডিকেল রিপোর্টে ফিট থাকা চাই ।
আরও পড়ুন ➝ কাতার রেস্টুরেন্ট ভিসা বেতন কত
শুধুমাত্র দুবাইতে গেলে যে মেডিকেল টেস্ট ফিট থাকতে হবে এমন কোন কথা নয় । সারা বিশ্বের যে দেশে আপনি যেতে চান না কেন অবশ্যই আপনাকে মেডিকেল টেস্টে ফিট থাকা লাগবে । আর সকল দেশের মেডিকেল টেস্টের আনফিট হওয়ার কারণ একই বলা যায় ।
এখন আপনি যদি কেন মেডিকেল টেস্ট দুবাইয়ে আনফিট হয় জেনে যান তাহলে আপনি সকল দেশের জন্য মেডিকেল টেস্টের আনফিট সম্পর্কে জেনে গেলেন । তাই এখন আমরা দুবাই মেডিকেল টেস্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো । আপনি যদি এ বিষয়ে জানতে চান তাহলে পোস্টটি পড়তে থাকুন । তো চলুন শুরু করা যাক ।
কেন দুবাই মেডিকেল টেস্ট আনফিট হয়
আপনি যদি কখনো দুবাইতে যেতে চান তাহলে অবশ্যই মেডিকেল টেস্ট করতে হবে । আমরা অনেকে মেডিকেল টেস্ট করি কিন্তু কোন সতর্কতা অবলম্বন করি না । এর ফলে আমাদের টাকা খরচ ঠিকই হয় কিন্তু আমাদের মেডিকেল টেস্টে ফিট হতে পারি না । তাই আমাদের প্রত্যেকের এই বিষয়ে জানা অতএব জরুরী ।
সাধারণত দুবাই মেডিকেল টেস্টে দুইটি পরীক্ষা করা হয়ে থাকে । প্রথমটি হচ্ছে রক্ত পরীক্ষা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে বুকের এক্সরে । আপনার রক্তে যদি বড় কোন ধরনের সমস্যা থাকে অথবা আপনার হার্টে যদি সমস্যা থাকে তাহলে কিন্তু মেডিকেল টেস্টে অবশ্যই আনফিট দেখানো হবে ।
তবে আপনার সমস্যা যদি ছোট খাটো হয় তাহলে কিন্তু দুবাই মেডিকেল টেস্ট আপনাকে ফিট দেখানো হবে । তাই আপনি যদি মনে করেন রক্তের সমস্যা আছে অথবা হার্টের সমস্যা আছে তাহলে অবশ্যই সেই সমস্যা থেকে আগে সুস্থ হোন এবং তারপরে দুবাই মেডিকেল টেস্টের জন্য রিপোর্ট করুন ।
দুবাই মেডিকেল টেস্ট আনফিট হলে করণীয় কি কি
আপনি যদি দুবাই মেডিকেল টেস্টে আনফিট হন তাহলে চিন্তার কোন কারণ নেই । আপনি তখন দুবাই থেকে চিকিৎসা করানোর সুযোগ পাবেন । অতঃপর আবার আপনাকে দুবাই মেডিকেল টেস্ট করার সুযোগ দেওয়া হবে । তখন আপনি যদি মেডিকেলে ফিট হন তাহলে তো কোন সমস্যা হবে না ।
তবে আপনি দুবাই মেডিকেল টেস্ট ২ থেকে ৩ বার করানো সুযোগ পাবেন । আপনার চিকিৎসা করানোর পরেও যদি শারীরিক কোন উন্নতি না হয় তাহলে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ বার মেডিকেল টেস্ট করার পর যদি আপনি তখন আনফিট থাকেন তখন আপনাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ।
আরও পড়ুন ➝ মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
তাই আমরা যদি কখনো দুবাইতে থাকা কালে অসুস্থ হয়ে পারি তখন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত মেডিকেল টেস্ট করাব না । আপনাকে যে সময় দেওয়া হবে ওই সময়ের ভিতরে সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা করে তারপর মেডিকেলের টেস্ট করব । আশা করি তখন আপনি মেডিকেল টেস্টে ফিট হতে পারবেন ।
দুবাই মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের মেয়াদ কতদিন
আপনি যদি ইতিমধ্যে দুবাই মেডিকেল টেস্ট করে থাকেন তাহলে ওই টেস্টের রিপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকবে তা জানা দরকার । সাধারণত প্রথম অবস্থায় দুবাই মেডিকেল টেস্ট করানো হলে ভিসা রিনিউ করার আগ পর্যন্ত ওই টেস্টের মেয়াদ থাকে । যখন আপনি পুনরায় ভিসা রিনিউ করবেন তখন আবার নতুন করে মেডিকেল টেস্ট করতে হবে ।
তবে প্রথম অবস্থায় আপনাকে রক্ত পরীক্ষা এবং বুকের এক্সরে করতে হবে । কিন্তু আপনি যখন দ্বিতীয় বার ভিসার রিনিউ করবেন তখন আর বুকের এক্সরে পরীক্ষা করতে হবে না । ওই সময় আপনাকে শুধুমাত্র রক্ত পরীক্ষা করলেই হবে । অতঃপর তখন ওই মেডিকেল টেস্টের রিপোর্ট মেয়াদ আবার পুনরায় ভিসা রিনিউ করার আগ পর্যন্ত থাকবে ।
আমাদের শেষ কথা
সম্মানিত দর্শক, আজকের পোস্টে আমরা কেন দুবাই মেডিকেল টেস্টে আনফিট হয়, আনফিট হলে করনীয় কি কি ও দুবাই মেডিকেল টেস্ট রিপোর্টের মেয়াদ কতদিন থাকে সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি । আপনি যদি কখনো দুবাইতে যেতে চান অথবা দুবাই থাকা কালীন সময় মেডিকেল টেস্ট করতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত নির্দেশনা গুলো ফলো করুন ।
আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনার খুবই ভালো লেগেছে । সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার পর আপনি যদি সামান্যতম উপকার পান তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধু-বান্ধব ও ফ্যামিলিতে পোস্টটি শেয়ার করুন । তাছাড়া আমার এই পোস্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন ব্যক্তিগত মন্তব্য থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানান । ধন্যবাদ ।